সাম্প্রতিক বছরসমূহের (৩ বছর) প্রধান অর্জনসমূহ:
জনগণের স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়নে বিগত ৩ বৎসরে পাহাড়, নদী ও হাওর ঘেরা সবুজ শ্যামল প্রাকৃতিক ভূমি প্রকৃতি কন্যা সিলেট বিভাগে স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক উন্নতি এবং উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এসভিআরএস-২০২০ অনুযায়ী নবজাতকের মৃত্যু হার হ্রাস পেয়ে ২০২০ সালে প্রতি হাজারে ১৫ এ দাঁড়িয়েছে, যা ২০১৬ সালে ছিল ১৯। মাতৃ মৃত্যু হ্রাস পেয়ে বর্তমানে প্রতি লক্ষ্যে জীবিত জন্মে ১৬৩-এ দাঁড়িয়েছে, যা ২০১৬ সালে ছিল ১৭৮। প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল ৭২.৮ এ উন্নীত হয়েছে, যা ২০১৬ সালে ছিল ৭১.৬। পুরুষের তুলনায় মহিলাদের গড় আয়ু বেশী বেড়েছে। গত অর্ধ দশকে স্থুল জন্মহার কমেছে ০.৭% এর চেয়েও কিছুটা বেশী। ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব রয়েছে। এইচআইভি/এইডস সংক্রমণের ক্ষেত্রে ৩৬.১% মহিলা সংক্রমণের সকল পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত আছে, ২০১৫ সালে এই হার ছিল মাত্র ২৫.৮%। গ্রামীণ জনগণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকল্পে সিলেট বিভাগে ৮৯১টি কমিউনিটি ক্লিনিক যথাযথ জনবল ও পর্যাপ্ত ঔষধ দিয়ে কার্যকর ভাবে চালু রয়েছে, যা গ্রামীণ জনগণের স্বাস্থ্য উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ মোকাবেলার জন্য সরকার বদ্ধ পরিকর এবং তা মোকাবেলায় ৩৯ ও ৪২তম বিসিএস এর মাধ্যমে সরকার অত্র বিভাগে ৬৫৮ জন চিকিৎসক নিয়োগ করেছে। এছাড়া কোভিড-১৯ সংক্রমন নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সরকার ইতিমধ্যে অত্র বিভাগে ২৯টি আইসিইউ বেড সম্প্রসারন, ৫টি পিসিআর মেশিন ও ৭টি ডেডিকেটেড হাসপাতাল নিশ্চিত করেছে। এছাড়া মহামারী মোকাবেলায় স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনায় "COVID-19 Emergency Response and Pandemic Preparedness" এবং "COVID-19 Response Emergency Assistance" বিষয়ক দুটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারি রোধকল্পে ইতোমধ্যে অত্র বিভাগের শতকরা ৭০ ভাগের অধিক জনগণকে কোভিড-১৯ টিকার আওতায় আনা হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবার আইনগত ভিত্তি সুপ্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে মানবদেহ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ (সংশোধন) আইন-২০১৮, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির জরুরী স্বাস্থ্যসেবা নীতিমালা-২০১৮, হজ্ব যাত্রী নীতিমালা-২০১৮ প্রণয়ন করা হয়েছে। ক্যান্সার, কিডনী ও হৃদরোগের চিকিৎসার লক্ষ্যে অত্র বিভাগে বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪৬০ শয্যা বিশিষ্ট সমন্বিত ক্যান্সার, কিডনী ও হৃদরোগ ইউনিট তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। অত্র বিভাগে শিশু কার্ডিয়াক সেন্টার স্থাপন এর পরকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় তথ্য প্রযুক্তির প্রবর্তন করা হয়েছে। ই-হেলথ সার্ভিস ও টেলিমেডিসিন সেবা চালু করা হয়েছে। সর্বোপরি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় সাফল্য অর্জনে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS